আমাদের কথা

আমাদের কথাঃ

১৯৮১ সালে শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ‘দি আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন’ এমন একটি শিক্ষামূলক মানবিক সংগঠন যা মানসিক চাপ দূরীকরণ ও সেবামূলক উদ্যোগে প্রতিনিয়ত নিরলস প্রয়াস করে চলেছে। এই সংস্থাটির কর্মকান্ড বিশ্বের ১৫২টি দেশে ছড়িয়ে ৩৭ কোটি মানুষের জীবনকে ছুঁয়েছে।

এই সংস্থার সকল কর্ম প্রয়াসের উৎসে রয়েছে শ্রীশ্রীর শান্তির দর্শন। “যতক্ষণ না আমরা চাপ-মুক্ত মন ও হিংসা মুক্ত সমাজ গড়তে পারব, ততক্ষণ আমরা বিশ্ব শান্তির কথা চিন্তাতেই আনতে পারব না”। ব্যক্তিবিশেষকে চাপ মুক্ত করে অন্তরের গভীরে শান্তি উপলব্ধি করানোর জন্য আর্ট অফ লিভিংয়ের যে চাপ দূরীকরণ প্রকল্প রয়েছে, তার মধ্যে শ্বাস গ্রহণের বিশেষ কৌশল, যোগ ও ধ্যান উল্লেখযোগ্য। এই পরিকল্পনা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে চাপ থেকে, অবসাদ থেকে মুক্ত করেছে ও তাদের মন থেকে হিংসাত্মক প্রবৃত্তি সম্পূর্ণ নির্মূল করে দিয়েছে।

দি আর্ট অফ লিভিংয়ের এই কর্ম্যোদ্যোগের ফলে বিভিন্ন দেশে নানা গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। দ্বন্দ্ব নিরসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ সাহায্য, নিরবচ্ছিন্ন গ্রামীণ উন্নয়ন, মহিলাদের অধিকার ও সামর্থ্য দান করে সক্ষম করে তোলা, কয়েদীদের পুনর্বাসন, সকলের জন্য শিক্ষা এবং পরিবেশ বান্ধব কর্মদ্যোগ এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

সহযোগী সংস্থাঃ

দি আর্ট অফ লিভিংয়ের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি সহকারী সংস্থা যাদেরও একই উদ্দেশ্য – চাপমুক্ত, হিংসামুক্ত বিশ্ব সৃষ্টি করা। দি ইন্টারন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান ভ্যলুজ (আই এ এইচ ভি), বেদ বিজ্ঞান মহা বিদ্যাপীঠ(ভি ভি এম ভি পি), শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যা মন্দির (এস এস আর ভি এম), ব্যক্তি বিকাশ কেন্দ্র, ইন্ডিয়া (ভি ভি কে আই), শ্রী শ্রী রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এস এস আর ডি পি)এবং শ্রী শ্রী ইনস্টিটিউট অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস এ্যান্ড টেকনোলজি ট্রাস্ট (এস এস আই এ এস টি)এদের মধ্যে অন্যতম, যাদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে দি আর্ট অফ লিভিংয়ের বিভিন্ন মানবদরদী পরিকল্পনার উদ্ভাবন এবং সম্পাদন সম্ভব হয়৷

সংস্থার পরিকাঠামো ও অঙ্গবিন্যাসঃ

দি আর্ট অফ লিভিং একটি বহুমুখী প্রতিষ্ঠান যার স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এই সংস্থার আন্তর্জাতিক প্রধান কার্যালয়। ১৯৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও জার্মানীতে দি আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তার পরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় কেন্দ্র গড়ে ওঠে। এই সংস্থার মূল কাঠামোতে রয়েছে ‘বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ’ যার মেয়াদ দু বছরের। প্রতি দু বছর অন্তর এই ট্রাস্টিদের দুই তৃতীয়াংশের পরিবর্তন হয়। সব আর্ট অফ লিভিং শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রাক্তন ট্রাস্টিরা নতুন ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের মনোনীত করার অধিকার পান। এছাড়া একটি ‘অ্যাডভাইজরি বোর্ড’ও আছে যা সংস্থার পথ প্রদর্শক, পর্যবেক্ষক ও প্রতিবেদক রূপে কাজ করে। আয়ব্যয় সংক্রান্ত সব হিসেব নিয়মিত ভাবে বহিরাগত নিরীক্ষককে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। শুধুমাত্র খরচা নির্বাহ ছাড়া ট্রাস্টিদের কেউই অন্য কোন সুবিধা (বেতন ইত্যাদি) পান না। দি আর্ট অফ লিভিংয়ের সব কর্মশালা এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে তার বিভিন্ন মানবদরদী সেবামূলক উদ্যোগ পরিপুষ্ট হয়। এই সংস্থার প্রকাশনা এবং আয়ুর্বেদ সামগ্রীর বিক্রি থেকে যে অর্থ সংগৃহীত হয় তাও ব্যয় হয় বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কর্মযজ্ঞে।

সদস্যপদ:

  • জেনিভা ও নিউইয়র্কের সিওএনজিও (কনফারেন্স অফ এন.জি.ওস ইন কন্সালটেটিভ স্ট্যাটাস উইথ ‘ইকোসক’ অফ দি ইউনাইটেড নেশন্স)
  • ইন্টারন্যাশনাল এ্যালায়েন্স এগেন্‌স্ট হাঙ্গার
  • ইউ এন মেন্টাল হেল্‌থ কমিটি অ্যান্ড ইউ এন কমিটি অন এজিং, নিউইয়র্ক
  • ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর হেল়থ প্রোমোশন অ্যান্ড এডুকেশন, প্যারিস
  • এন.জি.ও ফোরাম ফর হেল‌্থ, জেনিভা
  •  

আর্ট অফ লিভিং দিবস পালিত হয়েছে:

  • লুইজিয়ানায় হিউম্যান ভ্যালুজ উইক – ২৩ শে ফেব্রুয়ারী, ২০০৭
  • বাল্টিমোরে হিউম্যান ভ্যালুজ উইক– ২৫ শে মার্চ – ৩১ শে মার্চ, ২০০৭
  • কলম্বিয়ায় হিউম্যান ভ্যালুজ উইক – মার্চ ২০০৭
  • সিরাকিউসে আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন ডে – ৭ ই মে, ২০০৪