আমাদের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি

কি ভাবে আমরা কাজ করি?

দি আর্ট অফ লিভিং নতুন দিশা প্রদর্শন করে, নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে, যথাযথ ও উৎকৃষ্ট উদাহরণ স্থাপন করে, মানুষের মধ্যে একাত্মবোধের সূচনা ঘটিয়ে এবং তাদের মুখে ভাষা যুগিয়ে সমাজে আমূল পরিবর্তন আনে।

দি আর্ট অফ লিভিং -এর ‘প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট’ (পি এম ইউ) একটি বিশেষ প্রযুক্তিগত শাখা। এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যার সার্বিক সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত। এই ইউনিটটির অভীষ্ট লক্ষ্য বিভিন্ন ব্যবহারযোগ্য সম্পদের সরবরাহ যারা করে ও যারা ভোগ করে তাদের মধ্যে মাধ্যম রূপে কাজ করে সামাজিক পরিবেশে আমূল পরিবর্তন আনা। কাজের জবাবদিহি করবার বাধ্যবাধকতা, অপরকে সামর্থ্য দান করে সক্ষম করে তোলা এবং শেষ পর্যন্ত তাকে টিঁকিয়ে রাখা –আমাদের এই সব আদর্শ পদ্ধতিগুলি রাজযোটক হয়ে আমাদের এই শাখাকে মহৎ উদ্দেশ্যের অভিমুখে নিয়ে চলেছে।

সক্ষম করে গড়ে তোলার নকশা

যে সব যুবক যুবতীদের সহজেই বিপথে নিয়ে যাওয়া যায় তাদের নিজেদের গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করে তোলে আমাদের ‘ইয়ুথ লীডারশিপ ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ (ওয়াই এল টি পি) । প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক যুবতীরা নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে পরিবর্তনের প্রবক্তা হয়ে ওঠে এবং সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে এই চ্যালেন্জ গ্রহণ করে। এই উৎসাহী উদ্যোগী যুবশক্তির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা তাদের গোষ্ঠীর সার্বিক উন্নতির পথে এগিয়ে যাই।

বাধ্যতামূলক জবাবদিহি

যে কোন পরিকল্পনায় গোড়া থেকেই নিয়মিত ভাবে ধাপে ধাপে আমরা আয় ব্যয়ের হিসেব এবং কি ভাবে কতটা কাজ হয়েছে তার প্রতিবেদন পেশ করে থাকি। পরিকল্পনার সমাপ্তি অধ্যায়ে সম্পূর্ণ আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসেব দেখানো হয় এবং কোথায়, কিভাবে, কেন এবং কতটা অর্থ ব্যয় হয়েছে তা বিশদে দেখানো হয়। এই অধ্যায়ে আমরা আর একটি প্রতিবেদনও পেশ করি যাতে স্পষ্ট করে বলা হয় কিভাবে আমাদের সাহায্য এবং উদ্যোগে ওই বিশেষ অঞ্চলটি প্রভাবিত হয়েছে এবং তা কতটা কার্যকরী হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো যাতে আরও নিখুঁত হয়ে ওঠে এবং তার জন্য যদি অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করতে হয় তাও সুস্পষ্ট হয়ে যায়।

নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস

আমাদের গড়ে তোলা যুবনেতৃবৃন্দ নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের গোষ্ঠীকে আলোর সন্ধান দিতে থাকে। পরিকল্পনা শেষ হবার পরেও তারা তাদের গোষ্ঠীর উন্নতির জন্য সচেষ্ট থাকে যাতে প্রকল্প শেষ হবার পরও তার প্রভাব কমে না যায়।