গ্রামীণ উন্নতি সাধন

আর্ট অফ লিভিংয়ের গ্রামীণ উন্নতি বিধানের প্রকল্পের কর্তৃত্ব যুবাচার্যদের হাতে ন্যস্ত। গ্রামের স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা যুবকরা ইউথ লিডারশিপ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (ওয়াই এল টি পি) -এ প্রশিক্ষিত হয়ে যুবাচার্য হয়ে ওঠে। এই প্রশিক্ষণ তাদের নিজের গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা প্রকল্প পরিচালনা করার দক্ষতা, প্রেরণা ও ক্ষমতা তৈরি করে দেয়।

কেবল একটি সুদৃঢ় আধ্যাত্মিক ভিতই আত্মমর্যাদা বোধ আর অবিচলিত আত্মবিশ্বাস দিতে পারে।

ওয়াই এল টি পি প্রশিক্ষণ যুবকদের মধ্যে একদিকে ভেতরের শক্তি বাড়ায়, অন্যদিকে তাদের ব্যক্তিত্বে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা ও দক্ষতা সঞ্চার করে৷ এই দুয়ের সমন্বয়ের কারণে গ্রামীণ উন্নতির প্রকল্পগুলি টিঁকে থাকছে ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে৷

5 এইচ প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রতিটি গ্রামীণ এলাকায় গৃহহীনদের জন্যে গৃহনির্মাণ, স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধির পালন, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশবিভেদের মধ্যে ঐক্য স্থাপন। ১৯৯৭ সালে গঠিত 5এইচ প্রকল্প সামাজিক পরিবর্তনের এক অনুঘটক। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য দারিদ্র্য, দুর্দশা এবং রোগ দূর করা আর সারা পৃথিবীর গ্রামীণ আর উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে শান্তি স্থাপন।

এই কর্মশালার প্রভাবে গ্রামীণ এলাকার সমাজের একেবারে নিম্নস্তরের ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সামাজিক আর আর্থিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর হয়ে ওঠে, এতেই নিশ্চিতরূপে বোঝা যায় যে এই কার্যক্রমের ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী আর সুদৃঢ়।

‘5 এইচ’ এর অবদান

  • ৪০,২১২ টি গ্রামে পৌঁছে গেছে।
  • ১১০,০০০ জন গ্রামীণ যুবকদের প্রশিক্ষণ (ওয়াই এল টি পি) দিয়েছে।
  • বিনামূল্যে ১৬৫,০০০ টি মানসিক চাপ দূরীকরণের ওয়ার্কশপ করেছে যার মাধ্যমে ৫৬,৮৮,০০০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছে।
  • ৪৯,৫০০ টি স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতা শিবির করেছে, ২৫,৯৫০ টি মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছে, যার মাধ্যমে উপকৃতের সংখ্যা ২,৫৮২,৫০০।
  • ১ কোটিরও বেশি বৃক্ষ রোপণ করেছে।
  • ১৮৯৫ টি গৃহ, ৫৪১৮ টি শৌচালয় ,১১৫২ টি কুঁয়ো আর ৯০৪ টি বায়ো গ্যাসের প্ল্যান্ট তৈরি করেছে।
  • ৫৫ টি আদর্শ গ্রামের উন্নতিতে ১১৫০০০ মানুষ উপকৃত হয়েছে।
  • ৬০০০ –এরও বেশি লোককে জৈব প্রযুক্তিতে কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

গ্রামে বিদ্যুৎব্যবস্থা: ‘লাইট এ হোমপ্রকল্প

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে “লাইট এ হোম” প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন হয়। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল ভারতবর্ষের ৭ কোটি ৪০ লক্ষ বিদ্যুতের অভাবে কাটানো গ্রামীণ ব্যবস্থায় বসবাসকারী ভারতবর্ষের ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে স্বচ্ছ এবং স্বল্প মূল্যের বিদ্যুতের সুবিধে দেওয়া। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের অধিকাংশই আলোর প্রয়োজন মেটাবার জন্যে কেরোসিন ও অন্যান্য জ্বালানীর আশ্রয় নিত, যা তাদের স্বাস্থ্য আর পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকারক।

এখন অবধি “লাইট এ হোম” প্রকল্প সোলার হোম লাইটিং সিস্টেমের মাধ্যমে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, আসাম ও ঝাড়খন্ডের ১০০০ গৃহকে ও ৫০০০ এর বেশি মানুষকে উপকৃত করেছে। ২০১৫ সালের মধ্যে ১,০০,০০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার লক্ষ্য রয়েছে।

জৈব কৃষিব্যবস্থা

২০০৭ সাল থেকেই আর্ট অফ লিভিং রসায়নমুক্ত কৃষিকার্যের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে ৩২০০০ -এরও বেশি কৃষক এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেছে। এই কার্যক্রমে জৈব কৃষি ব্যবস্থার প্রযুক্তি শেখানো হয় আর ক্ষেতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে কি ক্ষতি হয় আর এতে মাটির ফলন ক্ষমতা কি ভাবে ধীরে ধীরে কমতে থাকে সে ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করে তোলা হয়।

পরিবর্তন আনার জন্যে আপনারাও এই বৈপ্লবিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করুন।

  • আপনি কি সমাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে আগ্রহী আর উৎসাহী?
  • যে সব পরিবর্তন আনতে আপনি আগ্রহী, তা দেখার জন্যে আপনি কি একাগ্র মনে এই কর্মকান্ডের অংশীদার হতে চান?
  • আপনি কি এ কাজে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবার জন্যে তৈরি? আর এর জন্যে দল তৈরি করতে আগ্রহী?

যদি তাই হয় তাহলে এই পরিবারের সদস্য হোন – ওয়াই এল টি পি পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন

নাইরোবির শিশুদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ান

এই প্রকল্পে কেনিয়ার শিশুদের অনেক উপকার হয়েছে৷ তারা নিজেদের মনকে ও আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করবার কৌশল শিখেছে৷ তাদের দুঃসহ দারিদ্র্যকে কমিয়ে তাদের একটা সুস্থ পরিবেশ দেওয়া হয়েছে৷

আরো একটি প্রকল্প যাতে আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন, আই এ এইচ ভি, আর হ্যান্ডস আপ ফর কিডস নিযুক্ত, তা হচ্ছে নাইরোবির শিশুদের জন্য গার্ডেন হোম এবং স্কুল প্রকল্প।

আরও পড়ুন