যোগের সাহায্যে আরো ভালো দৌড়ান

‘নো পেইন নো গেইন।’

সাত বারের মিঃ অলিম্পিয়া আর্নল্ড সোয়ার্জেনেগার তার কেরিয়ারের মধ্যাহ্নে থাকাকালীন এই স্মরণীয় উক্তিটি করেছিলেন, যা শারীরিক কসরত করার মানসিকতা তৈরি করতে এই যুগে আপ্তবাক্যে পরিণত হয়েছে। এটিই এক এবং একমাত্র সুনির্দিষ্ট বাস্তব, যা সোয়ার্জেনেগার বলেছেন। কিন্তু এই কষ্ট কি সত্যিই প্রয়োজনীয়? এমন যদি হয় শারীরিক কসরতে অত্যন্ত অল্পমাত্রায় কষ্টের পরিবর্তে বেশী মাত্রায় কেউ উপকার পেতেন?  

আশ্চর্যজনকভাবেই তা নয়। আমাদের মধ্যে বেশির ভাগই মজবুত শরীরের অধিকারী হতে চাই, আর তার জন্য প্রথমেই মনে আসে দৌড়ানোর কথা। এটা একটা খুব সাধারণ, ব্যয়হীন অভ্যাস, যা অভ্যাসকারীর অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে দেয় এবং সাথে কর্মক্ষমতাও বাড়ায়।

তবে এটা করতে হবে খুব সাবধানতার সঙ্গে। কারণ, এতে নিতম্ব, হাঁটু, পা, গোড়ালি, পায়ের পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এইজন্য বেশির ভাগ প্রশিক্ষক, জোরে দৌড়ানোর আগে একটু স্ট্রেচিং এর জন্য পরামর্শ দেন। আবার শুধুমাএ স্ট্রেচিংই যথেষ্ট নয়। সেইজন্য একজন দৌড়বাজের উচিত কিছু সময়ের জন্য অবশ্যই কিছু যোগমুদ্রা অভ্যাস করা। ‘আর্ট অফ লিভিং’ পরিচালিত ‘শ্রী শ্রী যোগ কোর্স’- এ এই ধরনের কিছু যোগব্যায়াম শেখানো হয়, আপনার শারীরিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রমের জন্য যা আপনাকে সাহায্য করবে।

দশটি সহজ যোগের ভঙ্গিমা নীচে দেওয়া হল, যা আপনার শরীরকে সফলভাবে দৌড়ানোর উপযোগী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে:

(১)   প্রজাপতির ভঙ্গী (বদ্ধকোণাসন)

এটি উরু, কুচকি, হাঁটু এবং হ্যামস্ট্রিঙের স্ট্রেচিং এর জন্য অত্যন্ত ভালো একটি ব্যায়াম। এটি নিতম্ব এবং কুচকিকে নমনীয় করে।

(২)    অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন

এই আসন মেরুদন্ডকে নমনীয় করে।

(৩)   সামনে ঝুকে দাঁড়ানো (হস্তপদাসন) 

হস্তপদাসন শরীরের পিছন দিকের সমস্ত পেশীর স্ট্রেচিং করতে সাহায্য করে। তলপেটের বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সুস্হ ও সবল করে, শিরদাঁড়াকেও নমনীয় করে।

(৪)    পায়ের পাতার মাঝে দূরত্ব রেখে সামনে ঝোঁকা (প্রসারিত হস্তপদাসন)

প্রসারিত হস্তপদাসন পা, হ্যামস্ট্রিং ও পায়ের পাতার স্ট্রেচিং করায়। এটি আবার শিরদাঁড়াকে সটান রাখে এবং তলপেটকে মজবুত করে।

(৫)    ত্রিকোণভঙ্গী (ত্রিকোণাসন)

ত্রিকোণাসন পা, হাঁটু, গোড়ালি,বাহু এবং বুককে মজবুত করে। নিতম্ব, কুচকি, হ্যামস্ট্রিং, পায়ের গোছ ও কাঁধকে সুগঠিত রাখে, শরীর ও মনের সমতা রক্ষা করে।

(৬)   বৃক্ষের ভঙ্গী (বৃক্ষাসন)

বৃক্ষাসন পায়ের জোর বাড়ায়। শারীরিক ভারসাম্যকে উন্নত করে। একজন অ্যাথলীটের শারীরিক ও মানসিক উদ্দীপনা বাড়াতে সাহায্য করে।

(৭)    যোদ্ধার ভঙ্গী (বীরভদ্রাসন)

বীরভদ্রাসন বাহু, পিঠের নিচের দিক এবং পাকে মজবুত, শক্তিশালী করে। শারীরিক শক্তি ও ভারসাম্যও বৃদ্ধি করে।

(৮)   দুই বাহুর সাহায্যে পাশে ঝোঁকা (কোণাসন)

শিরদাঁড়া এবং শরীরের পাশাপাশি টানটান ভাব রক্ষা করে। বাহু, পা, পেটের ভিতরকার বিভিন্ন অঙ্গকে মজবুত করে।

(৯)    মাথা নিচে, পা উপরে (পূর্বোত্তনাসন)

এই আসন পায়ের স্ট্রেচিং করায় এবং নিতম্ব, কব্জি, বাহু, কাঁধ, পিঠ, এবং শিরদাঁড়ার শক্তি বৃদ্ধি ঘটায় এবং মজবুত করে।

(১০)  চেয়ারের ভঙ্গী (উৎকটাসন)

উৎকটাসন মেরুদন্ড, নিতম্ব, বুক, উরু, গোড়ালি, পা, হাঁটুর মাংসপেশীকে সবল করে।

দৌড়ানো অত্যন্ত ভালো একটি ব্যায়াম, যা শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে, কর্মশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।আপনি যদি দৌড়াতে ভালোবাসেন, কাছাকাছি স্হানীয় সংগঠনে যোগদান করতে পারেন, এমন কি ম্যারাথনেও অংশগ্রহণ করতে পারেন। সুতরাং দৌড়ানোর প্রতি ভালোবাসা এবং উপরোক্ত যোগাসনের ভঙ্গিমাগুলির সমন্বয়ে আপনার যোগ্যতাকে আরও বাড়িয়ে তুলুন এবং দৌড় উপভোগ করুন।

Yoga practice helps develop the body and mind bringing a lot of health benefits yet is not a substitute for medicine. It is important to learn and practice yoga postures under the supervision of a trained Sri Sri Yoga teacher. In case of any medical condition, practice yoga postures after consulting a doctor and a Sri Sri Yoga teacher. Find a Sri Sri Yoga course at an Art of Living Center near you. Do you need information on courses or share feedback? Write to us at info@artoflivingyoga.in.

 
Founded in 1981 by Sri Sri Ravi Shankar,The Art of Living is an educational and humanitarian movement engaged in stress-management and service initiatives.Read More