সুদর্শন ক্রিয়া কি?

জীবনের প্রথম কাজ হল শ্বাস নেওয়া। শ্বাসের মধ্যেই লুকিয়ে আছে জীবনের অনাবিষ্কৃত রহস্য। . সুদর্শন ক্রিয়া হল অত্যন্ত শক্তিশালী অথচ সরল, ছন্দোবদ্ধ এক শ্বাস প্রক্রিয়া, যা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ছন্দের সঙ্গে শরীর, মন, আবেগকে একসুরে বেঁধে রাখে।

এই পদ্ধতি ব্যক্তির প্রকৃতি থেকে অবসন্নতা, নেতিবাচক আবেগ – যেমন রাগ, হতাশা, মানসিক চাপ ইত্যদিকে দূর করে, মনকে শান্তিপূর্ণ, সচেতন ও আলোকিত করে আর শরীরকে প্রাণশক্তিতে ভরপুর রাখে।

সুদর্শন ক্রিয়া জীবনের রহস্যকে উদ্‌ঘাটিত করে জীবনে অতলান্ত গভীরতা আনে। সুদর্শন ক্রিয়া অভ্যাসের ফলে সাধারণ সীমাবদ্ধ জীবন আধ্যাত্মিকতার মধ্য দিয়ে অসীমের এক ঝলক পায়। সুস্বাস্থ্য, সুখ ও শান্তি যে অনুদ্ঘাটিত রহস্য দিয়ে ঢাকা, সুদর্শন ক্রিয়া তাকে উন্মোচিত করে আর জীবনকে অতিক্রম করে আরো কিছু দেখবার অন্তর্দৃষ্টি দান করে।

প্রতিদিন সুস্বাস্থ্যের আস্বাদ নিন!

শ্বাস হল প্রাণশক্তির মূল উৎস –প্রধান জীবনী শক্তি। প্রাণশক্তি হল, শারীরিক স্বাস্থ্যের মূল ভিত্তি, শরীর-মন এই দুয়েরই ভালো থাকার কারণ। প্রাণশক্তি যখন উচ্চস্তরে থাকে, তখন আমরা সচেতন, প্রাণবন্ত থাকি। সুদর্শন ক্রিয়া প্রত্যেকদিন ৯০ শতাংশেরও বেশি টক্সিন আর জমে থাকা মানসিক চাপ ধুয়ে মুছে দিয়ে প্রাণশক্তিকে উচ্চস্তরে নিয়ে যায়।

সুদর্শন ক্রিয়া অভ্যাসকারীরা বলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে, উৎসাহ, উদ্দীপনা ও কাজ করবার শক্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে ও তাদের প্রাণশক্তি সর্বদা উচ্চস্তরে বিরাজ করে।

প্রতিদিন সুদর্শন ক্রিয়া অভ্যাস করলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, সারাজীবন সুখী, চনমনে, প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকা যায়।

সঠিকভাবে শ্বাস নিয়ে সারা জীবন সুখে থাকুন!

আপনি কি জানেন যে, যে সুদর্শন ক্রিয়ার রহস্য আপনার কাছে এখনও উন্মোচিত হয়নি সেই সুদর্শন ক্রিয়া আপনার মুখের হাসিকে আর জীবনের আনন্দকে চিরঅম্লান রাখবে, কখনই হারিয়ে যেতে দেবেনা?

সুদর্শন ক্রিয়া কিভাবে সুখ দিতে পারে ?

দিন রাত্রিকে অনুসরণ করে, ঋতু চক্রাকারে আসে যায়। জীর্ণ পাতা ঝরে গিয়ে গাছেরা কচি পাতায় ভরে ওঠে – এই সমস্তই প্রকৃতির নিজস্ব ছন্দ। এখন প্রকৃতিরই অঙ্গীভূত সত্তা হিসেবে, আমাদের মধ্যেও আছে জীবনের এক নিজস্ব ছন্দ, যা শরীর, মন, আবেগের সঙ্গে জড়িত। যখন মানসিক চাপ, অসুস্থতা এই ছন্দকে ব্যাহত করে তখন আমরা দুঃখ, হতাশা, অতৃপ্তি অনুভব করি ৷

সুদর্শন ক্রিয়া আমাদের শরীর, মন, আবেগের এই ছন্দকে প্রকৃতির নিজস্ব সুরের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। আবার আমরা সহজ, স্বাভাবিক আনন্দ-ভালোবাসায় নিজেদের এবং যে কোনো সম্পর্ককে আবিষ্কার করি। সুদর্শন ক্রিয়া শারীরিক, মানসিক, আবেগগত এবং সামাজিক ভাবে আমাদের উন্নত করে। সুদর্শন ক্রিয়া ‘আর্ট অফ লিভিং’ কর্মশালার প্রধান অংশ। পৃথিবীর অগণিত মানুষ সুদর্শন ক্রিয়া দ্বারা উপকৃত হয়েছে, তাদের বেঁচে থাকা শুধু মাত্র যান্ত্রিক জীবন ধারণ নয়, প্রত্যেক দিনই তাদের কাছে এক উৎসব৷

কেন সুদর্শন ক্রিয়া অমূল্য?

ভাল স্বাস্থ্য আর সুখী জীবন কি অমূল্য নয়?

মানুষ শ্বাস সম্বন্ধে যা জানে শ্বাস তার চেয়েও অনেক বেশী কিছু৷ আপনার প্রত্যেক দিনের শ্বাসের সঙ্গে অমূ্ল্য আরো ২০ মিনিট যোগাভ্যাস করুন!

শ্বাসের গোপন রহস্য জেনে নিন,