- জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে নিন।
- জীবন এবং জগতের অধ্যাত্ম রহস্যগুলি আবিষ্কার করুন৷
- আপনার সত্তার অন্তরতম গহনে ডুব দিয়ে মুক্তির আনন্দ উপভোগ করুন৷
- আত্মবোধের পথে নির্দেশিত উপায়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান৷
- গুরুর সান্নিধ্যে পরমতম সত্য, চরমতম প্রজ্ঞা আর অতুলনীয় আনন্দের অংশীদার হোন৷
আধ্যাত্মিক পথের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত, কিন্তু অনির্বচনীয়৷
আধ্যাত্মিক পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যান৷
শরীর, মন এবং আত্মাকে সুস্থ এবং সমন্বিত করুন
প্রথম ধাপ হল সুদর্শন-ক্রিয়া শেখা৷ এই শক্তিসঞ্চারী শ্বাস প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের শরীর, মন ও আত্মা নিরাময় হয়ে ওঠে এবং আমাদের ভিতরকার অবদমিত ভার ও উদ্বেগ সহজেই নির্মূল হয়ে যায়৷
আপনার অনন্ত সত্তার মধ্যে বিশ্রামে ডুবে যান
মৌনাভ্যাস বাহ্যিক অন্তরায় থেকে আমাদের চেতনা ও মনোযোগ সচেতনভাবে সরিয়ে আনার পদ্ধতি আমাদের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্তরে নতুন সজীবতা নিয়ে আসে৷ আমাদের ক্রিয়াশীল মনের ঊর্ধ্বে যাবার জন্য বিভিন্ন শৈলীর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে অসাধারণ শান্তি ও সজীব প্রাণময়তা অনুভব করে থাকি৷
আপনার সত্তার গভীরতাকে অনুভব করুন
ধ্যানের গভীরে ডুবে যাবার জন্য যোগ্য আচার্য প্রদত্ত ‘গুরুমন্ত্র’র আবশ্যকতা আছে৷ সহজ সমাধি, ধ্যানে আমাদের যে সহজ একটি শব্দ শেখানো হয়, তা মনকে নিয়ে যায় অন্তরতম গভীরতায়৷মন এবং স্নায়ুমন্ডল যখন ব্যাপ্ত নৈঃশব্দ্যে কিছুক্ষণের জন্য মগ্ন হয়ে যায়, তখন আমাদের চিত্তের উন্নতির সব অন্তরায় ধীরে ধীরে সরে যায়৷ নিয়মিত এই ধ্যানের অভ্যাসের ফলে জীবনের গুণগত মানের পরিবর্তন হয়; শান্তি, স্ফূর্তি ও পরিবর্ধিত চেতনা সারাদিনমান সঙ্গী হয়ে থাকে৷
“আশীর্বাদ”-এর শক্তি লাভ করুন আর রোগ নিরাময় করুন
ব্লেসিং বা আশীর্বাদ নিয়ে আসে প্রাচুর্য আর তৃপ্তি এবং সেই সাথে আমাদের অভিজ্ঞতাকে পূর্ণতার মাত্রা যোগ করে৷ পূর্ণতার বোধ আমাদের চৈতন্যের এক অপূর্ব বৈশিষ্ট্য৷ এর দ্বারা আমরা আশীর্বাদের মাধ্যমে রোগপ্রশমনের শক্তি অর্জন করি৷
আশীর্বাদের শক্তি মানসিক সংবেদনশীলতার এক পূর্ণ প্রকাশ, যা আর্ত ও আতুর-এর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সেবার মধ্য দিয়ে শান্তি আর ঐক্যের ভাব নিয়ে আসে৷ আপনার সঞ্চারিত আশীর্বাদ একজনের জীবনকে বদলে দিতে পারে৷ অনেকেরই এই অলৌকিক অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ হয়েছে৷
কৃতজ্ঞতার বোধে পুষ্পিত হয়ে উঠুন
কৃতজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমাদের ফুলের মতো ফুটে ওঠা চেতনা পবিত্রতম ও সুন্দরতম মাত্রায় প্রকাশিত হয়৷ যে সব আচার্য বা গুরুরা পবিত্রতার ধারায় অমূল্য প্রজ্ঞা শাশ্বত সময়ের স্রোত ধরে আমাদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছেন, গুরুপূজার দ্বারা তাঁদের প্রতি আমরা আমাদের কৃতজ্ঞ প্রণতি জানাই৷
বিন্দু যখন সিন্ধুতে মগ্ন হয়ে যায় তখন তার সেই শক্তির অনুভব জাগ্রত হয়ে ওঠে৷ অনুরূপভাবে আমরা যখন আচার্য-জন প্রদর্শিত পথের পথিক হই, তখন অনন্ত শক্তির উৎস আমাদের সম্মুখে উন্মোচিত হয়ে যায়৷