 
				 
				
			
			
		 
			
		 
					    গ্রামীন উন্নয়ন
গ্রামীন উন্নয়ন ভারতের গ্রামাঞ্চল গুলিতে এনেছে সৌরবিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য সহায়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুযোগ সুবিধা, সুদৃঢ় স্থানীয় শাসনব্যবস্থা এবং আরো অনেক কিছু।
 
                প্রতিকূলতা
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারঘাটতি, অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ, দুর্বল পরিকাঠামো যুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা।
 
                পরিকল্পনা
পরিকাঠামো উন্নয়ন, গোষ্ঠী, দল গঠন, স্থানীয় তরুণ তরুণী দের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করা।
 
                প্রচার
গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে জলশক্তিকে ব্যবহার করার জন্য জলাধার গড়ে তোলা, ঘরে ঘরে আলো আনার পরিকল্পনা।
পরিদর্শন
গ্রামীন ভারতের আহ্বান ! শুধুমাত্র প্রাথমিক কিছু বিষয় নয় যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বিশুদ্ধ পানীয় জল, বিদুৎব্যবস্থা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আরো অনেক কিছু। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের জন্য - সেখানে শুধুমাত্র শৌচাগার বানানোর কোন মানেই নেই,কারণ যদি কেউ তা ব্যবহারই না করে। একটা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর কোন মানেই নেই, যদি গ্রামের কোন মানুষ সেই সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন না করে। আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনার কোনই মানে হয় না, যদি স্থানীয় জনসমস্যা কি সেটাই চিহ্নিত না করা হয়।
গ্রামীণ ভারতে, উন্নত জীবন যাপন ও জীবিকার জন্য গ্রামবাসীদের শহরে স্থানান্তরনের (চলে আসার) ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সাথে একটা সমান এবং বড় চাহিদা ঘাটতির প্রবণতা । আর এটাকে আটকাতে হবে।
আমরা বিশ্বাস করি যে কোন প্রণালীর স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য মূল বিষয় হল জনগণের পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ। তাই যখন আমরা শৌচাগার গড়ে তুলব, জনগণকে সেটা ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কেও অবগত করতে হবে । সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র গঠন করবার সাথে সাথেই, গ্রামের তরুণ-তরুণীদের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের গুরুত্ব ও সেই সংক্রান্ত পরিসেবার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যখন আমরা আদর্শ গ্রামের সম্বন্ধে আলোচনা করি, তখন আমরা গ্রামাঞ্চলের সমস্যাগুলি নির্ধারণ করে যারা সেইগুলি সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারে, তাদেরকে এমনভাবে উৎসাহিত করব,যাতে তারা ঐ সমস্যা দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
এক কথায়, আমরা মনে করি, পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রক্রিয়া এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়ন একসাথে হাত ধরাধরি করে চলতে থাকে। এই প্রাথমিক নকশা কে ধরে আমরা যে কাজগুলি করে চলেছি:
- একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দিকে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো
- গ্রামাঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
- শৌচাগার তৈরী করা এবং জনগণকে এর ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা।
- স্থানীয় প্রশাসনিক কাঠামোকে মজবুত করার মাধ্যমে
- গ্রামগুলোর নিজস্ব জুতসই পরিচালন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
গ্রামীন উন্নয়ন
গ্রামের পরিবর্তন আনা
বিকন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম যে আমাদের গ্রামে নেশার মতো সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমাদের এলাকায় নেশার অবস্থা ভয়াবহ ছিল। মাত্র ১২ বছর বয়সী ছেলেরা পর্যন্ত নেশায়…
 
                            সরিতা দেবী
ওয়ার্ড সদস্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, ভান্ডরো, ঝাড়খণ্ড
ভারতবর্ষ প্রকৃত অর্থেই সুদৃঢ় তথা মজবুত হয়ে উঠবে যখন একদম নীচের শ্রেণীতে থাকা মানুষ জন নিজেদের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে, তাদের জীবনযাপনের প্রক্রিয়া, তাদের ঐতিহ্য ও ভাষার প্রতি।
- গুরুদেব শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
পরিকল্পনা
আমাদের গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প তিনটি - ধাপের উপর ভিত্তি করে যেগুলি একযোগে চালু করা হবে।
এগুলি হল:
- পরিকাঠামো উন্নয়ন:এটা হতে পারে সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। যেমন বিভিন্ন দিকে দক্ষতা অর্জনের জন্য নানা কেন্দ্র গঠন করা, অথবা জ্ঞান অর্জনের উপযুক্ত পরিকাঠামো যেমন ধরা যাক ভালো প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনের জন্য একটা ভালো জ্ঞানের কাঠামো / রূপরেখা গঠন করা। 
 আমরা নিশ্চিতরূপে বলছি যে আমরা স্থানীয় মানুষজনের সমস্ত চাহিদা পূরণে সহায়তা করব।
 .
- স্থানীয় যুবক যুবতী দের সমস্যা সমাধান করার রাস্তা দেখানো:এইসব জায়গায় স্থানীয় যুবক-যুবতীদের কর্ম যোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে (YLTP) নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটি তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, প্রেরণা জোগানে সহায়ক হবে এবং তাদের গোষ্ঠী তথা সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রবর্তন করতে পারবে , চালু করতে পারবে। আমরা এইসব তরুণ নেতাদের বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকটা বোঝাতে পারব এবং কোন পরিকল্পনার অর্থনৈতিক দিকটা সম্বন্ধেও অবগত করতে পারব। 
- গোষ্ঠী গঠন ও তার প্রয়োগ:
 আমরা গোষ্ঠী গড়ে তুলি আমাদের ব্যক্তিবিকাশ কেন্দ্র সংস্থার নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে। এই পদ্ধতিতে আমরা সুনিশ্চিত করতে পেরেছি যে সমস্ত গোষ্ঠী সদস্যরা তাদের গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলার পথ খুঁজে পেয়েছে।
প্রভাব
 
                70,000 গ্রাম
ভারতের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছেছে
 
                1,00,000 স্বাস্থ্যবিধি শিবির
আয়োজন করা হয়েছে
 
                3,08,244+ যুবক
গ্রামীণ ভারতের 574 টি জেলায় প্রশিক্ষিত
 
                30 লক্ষ কৃষক
প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত
 
                4,75,000+ মানুষ
14 বছরে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক দক্ষতায় প্রশিক্ষিত
 
                110 টি মডেল গ্রাম পঞ্চায়েত
উন্নয়নাধীন
 
                1,11,000+ মহিলা
বৃত্তিমূলক দক্ষতায় প্রশিক্ষিত
 
                3,819 টি ঘর
62,000+ শৌচাগার এবং 1,000 বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট নির্মিত
 
                1,00,000+
স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা পরিচালিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান
 
                45,000 জন ব্যক্তি
ভারতের 12 টি রাজ্যে গ্রামীণ কিশোরদের জন্য এইচআইভি/এইডস সচেতনতা (HARA) অভিযানে উপকৃত
 
                15,000+ যুবক
নেশামুক্তি কর্মসূচি থেকে উপকৃত
 
                4,000+ ঞ্চায়েত সদস্য
সু-শাসনের জন্য প্রশিক্ষিত
সৌরবিদ্যুৎ প্রশিক্ষণ যুবকদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
 
                            ময়ূর চৌহারি
বেঙ্গালুরুর সোলার স্কিল ট্রেনিং সেন্টারের স্নাতক।
যুবাচার্য গ্রামবাসীদের কর্মে উৎসাহিত করেন
 
                            অভয় তোডকার
যুবাচার্য, দহিওয়াড়ি গ্রাম, সাতারা





