

বিশ্বশান্তির প্রতীক আভ্যন্তরীণ শান্তি
সংলাপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসন এবং ব্যক্তির স্তরে শান্তি বিকাশ

বিশেষ প্রচেষ্টা
- জঙ্গি সংগঠন, সরকার এবং স্থানীয় জন সমাজের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব
- প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে অন্তর্নিহিত গভীর চাপ

কৌশল
আলোচনার মাধ্যমে এবং আতঙ্ক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষ কর্মশালার আয়োজন

প্রতিফলন
- 7400+ সশস্ত্র বিদ্রোহীর আত্মসমর্পণ এবং সমাজের মূল স্রোতের সাথে মিলিত হওয়া
- 16,000+ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা মানসিক আতঙ্ক থেকে মুক্ত হওয়ার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত করেছে।
- 20,000+ মানুষ যারা যুদ্ধ বিদ্ধস্ত এলাকা থেকে ফিরে এসেছিলেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য সামগ্রী প্রদান
- যারা পরস্পরের মধ্যে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন তাদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ বার্তালাপের সূচনা করা
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব বিশ্ব শান্তির নিমিত্ত সেটিকে সমাধান করা একটি কঠিন কাজ। কায়েমী স্বার্থ, দীর্ঘ দিনের হি়ংসাত্মক ঘটনার ইতিহাস, বিশ্বাস এবং পরস্পরের যোগাযোগের ঘাটতি এবং ব্যক্তি বিশেষের ভয়ঙ্কর মানসিক চাপ এই সবই বিবাদ নিষ্পত্তি করণের ক্ষেত্রে কঠিন বাঁধা।
গুরুদেব শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর বিশ্বাস করেন যে ধৈর্য, নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং প্রতিটি মানুষের আভ্যন্তরীণ শান্তি ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে এই সমস্ত জটিল সমস্যা গুলিকে জয় করা যায়।
স্বতন্ত্রভাবে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে অন্তর্নিহিত শান্তিকে প্রতিষ্ঠিত করে আমরা অপরাধীদের পরিবর্তিত করতে পারি এবং যারা এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাদের নিরাময় করতে পারি। সহজ আলোচনার মাধ্যমে আমরা ঘাটতি পূরণ করতে পারি। একযোগে এই সমস্ত কর্মের মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তিকে বাস্তবায়িত করতে পারি।
গুরুদেব স্বয়ং এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে একাধিক সংশ্লিষ্ট পক্ষ এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে বার্তালাপ ও কৌশলগত প্রক্রিয়ার দ্বারা শান্তি স্থাপন করেন।
মানসিক চাপ এবং আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিপুণতার সাথে তৈরী করা প্রোগ্রামের মাধ্যমে আর্ট অফ লিভিং ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ্ হিউম্যান ভ্যালুজ হাজার হাজার মানুষকে আভ্যন্তরীণ শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করেছেন। এদের মধ্যে জঙ্গিদল, সশস্ত্র বিদ্রোহী, সামরিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি, শরণার্থী শিবিরের উদ্বাস্তু এবং সশস্ত্র বাহিনী যারা গভীর জঙ্গলের প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মরত ছিলেন তারাও সামিল হয়েছিলেন।
আমাদের হস্তক্ষেপ একটি সদর্থক পরিবর্তন নিয়ে আসে যেখানে দীর্ঘস্থায়ী বিবাদের সমাপ্তি ঘটিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করেন।
সামরিক পোশাক পরিহিত আমি একজন জেলা কমান্ডার ছিলাম। সবসময়ই একটি বন্দুক আমার সঙ্গে রাখতে হ’ত। যেহেতু ভয়ঙ্কর উদ্বিগ্ন এবং আশঙ্কা আমাকে গ্রাস করেছিল আমি ঘুমোতে পারতাম না। আমাকে ঘুমের ওষুধ…
প্রাক্তন জঙ্গি সেনা
আমাদের পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত বিষয়
নিম্নলিখিত বিষয়গুলির সমন্বয়ে আমরা আমরা একাধিক কর্মপন্থার অনুগামী হয়েছি :

অন্তর্নিহিত শান্তিকে স্থাপন করা
আতঙ্ক ও মানসিক চাপ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য কর্মসূচি

একাধিক দলের মধ্যে আলোচনা
সংশ্লিষ্ট পক্ষ এবং বিরোধী দল

স্থানীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা
সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক সহযোগিতা

প্রয়োজনীয় বস্তুর সরবরাহ
জরুরী অবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে

মঞ্চ তৈরি করা
সম্মেলন, থিঙ্ক ট্যাঙ্কস (সমস্যা সমাধানের জন্য নিবেদিত সংস্থা) এবং বাহ্যিক সহযোগিতা
শান্তির অর্থ একমাত্র এই নয় যেখানে দ্বন্দ্বের অনুপস্থিতি, এটি আমাদের অন্তঃস্থলে একটি ইতিবাচক অবস্থা। যখন আমাদের মন শান্ত থাকে, আমাদের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হয়, আবেগ সদর্থক হয় ও হালকা হয় এবং ব্যবহার অধিক প্রীতিকর হয়। অন্তর্নিহিত শান্তির খোঁজের এগুলি ফলাফল এবং অন্তঃস্থলের শান্তিই বিশ্ব শান্তির চাবিকাঠি।
- গুরুদেব শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
প্রভাব
গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রকল্প
52 বছরের পুরাতন দ্বন্দ্ব সমাধানে অংশগ্রহণ, 2016
2015 সালে FARC নেতারা যখন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গুলিকে সর্বপ্রকার হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে বিরোধিতা করেছিল সেই সময় গুরুদেব শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর তাদের সাথে কলম্বিয়া সরকারের মধ্যস্থতা করানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন। কলম্বিয়াতে আর্ট অফ লিভিং এর বলিষ্ঠ উপস্থিতির মধ্যে গুরুদেবকে কলম্বিয়ার সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করা হয়, The order de la Democracia Simon Bolivar. আরও পড়ুন
জম্মু ও কাশ্মীর: পইগম- ই- মুহাব্বত, 2017
জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি গোষ্ঠীদের সংশোধিত করে শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আর্ট অফ লিভিং কাজ করে যায় এবং এর ফল স্বরূপ বহু সশস্ত্র জঙ্গি তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন। পয়গম-ই-মুহব্বত সমন্বয় সাধনের একটি অনন্য কার্যক্রম ছিল, যেখানে তারা শহীদের পরিবার, নিরাপত্তা রক্ষী, পারস্পরিক গুলি বর্ষণের যুদ্ধে যারা শিকার হয়েছেন, নিহত জঙ্গি এদের সকল পরিবারকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠিন একটি কাজের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আরও পড়ুন
16,000+ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা আতঙ্ক থেকে মুক্তির শিক্ষণ প্রাপ্ত করেছে, 2016 -2019
জর্ডন এবং লেবাননে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার শিশুরা আমাদের আতঙ্ক থেকে মুক্তির শিক্ষণ প্রাপ্ত করে আবেগ মুক্ত হতে পেরেছে। Healing, Resilience and Preventing Extremism Project - IAHV এই প্রকল্পটি শুরু করে - প্রকল্পটি লেবানন এবং জর্ডনের শরণার্থী ও স্থানীয় মানুষদের আবেগকে প্রশমিত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে একটি সংহত ও শান্তিপূর্ণ সমাজের প্রতিষ্ঠা করে। আরও পড়ুন
জঙ্গি সংগ্রামী যুবকদের পরিবর্তিত করা
700 প্রাক্তন জঙ্গিদের মানসিক বিপর্যয় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়। বিহার , ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জঙ্গি সেনারা আর্ট অফ লিভিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন ও তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন। আরও পড়ুন
ইরাকের পুনরুদ্ধার, 2003
2003 সালের সেপ্টেম্বর থেকে আর্ট অফ লিভিং প্রায় 50,000 যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়। মানুষকে জনকে রক্ষা করার জন্য প্রচার ও প্রোগ্রামে এগিয়ে আসতে ইরাকি সম্প্রদায়ের নেতাদের আমরা প্রশিক্ষণ দিই এবং উৎসাহিত করি। আমাদের woman Empowerment Program মহিলাদের মানসিক স্থিতিস্থাপকতার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে তাদের আহ্বান করে এবং স্বনির্ভর হওয়ার জন্য তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমাদের কর্মশালায় ইয়াজিদি, শিয়া এবং খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ জনতাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।. আরও পড়ুন
উত্তর -পূর্বের UPLA জঙ্গি সংগঠন একতরফা যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে, 2018
উদ্বেগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কর্মশালায় প্রশিক্ষণের সাহায্যে এবং সরকার ও UPLA( United people's liberation Army) 'র মধ্যে অনুকূল কথোপকথনের মাধ্যমে 2018 সালে 150 গ্রুপ সদস্য একতরফা যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে। আরও পড়ুন
জর্ডন, লেবানন এবং সিরিয়ায় মানবিক প্রচেষ্টা, 2003
2003 সাল থেকে আর্ট অফ লিভিং এই অঞ্চলে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। আমরা এখানে ইরাক, সিরিয়া এবং লেবানন থেকে আগত উদ্বাস্তু যুবাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছি। এই বিপদগ্রস্ত যুবাদের আন্তঃসম্পর্কিত শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে যাতে তারা ভবিষ্যতের শান্তির জন্য সমাজসেবী হিসেবে কাজ করতে পারে। আরও পড়ুন
মণিপুরে জঙ্গিগোষ্ঠী সমর্পণ করেনr, 2017
গুরুদেব স্বয়ং উত্তর - পূর্ব ভারতের দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্বের ইতিহাস এবং বিদ্রোহ সমাধানের জন্য স্বয়ং কর্মরত হন। আর্ট অফ লিভিংয়ের লাগাতার প্রচেষ্টায় ৬৮ জন বিদ্রোহী তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন।
অধিকন্তু, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আর্ট অফ লিভিং প্রাক্তন বিদ্রোহীদের মূল স্রোতের সঙ্গে সমন্বিত করে।
আরও পড়ুন
উত্তর পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় জনগণের সম্মেলন, 2017
আর্ট অফ লিভিং উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্যার আলোচনার নিমিত্ত ঐ অঞ্চলের বিভিন্ন দল এবং যারা পূর্বেই অস্ত্র ত্যাগ করেছেন তাদের আহ্বান করে। আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার জাতিগত দ্বন্দ্বের পরিণতি স্বরূপ যে মানসিক আঘাত সেটি হ্রাস করা হয়
শ্রীলঙ্কার আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন গুরুদেবের রচিত শান্তি স্থাপনা ও পুনর্মিলন শৈলীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শত শত প্রাক্তন LTTE যোদ্ধাদের জীবন ধারণের প্রোগ্রামে সামিল করেছে।
গুরুদেবের আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং সুদর্শন ক্রিয়ার শ্বাসের প্রক্রিয়া 1800 হাজারের অধিক প্রাক্তন LTTE যোদ্ধাদের তাৎপর্যপূর্ণভাবে সমাজের মূল ধারার সাথে যুক্ত হতে সাহায্য করেছে। আরও পড়ুন
USA: প্রোজেক্ট ওয়েলকাম হোম ট্রুপ, 2006
মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ বিদ্ধস্ত অঞ্চল থেকে ঘরে প্রত্যাবর্তনকারী সেনাদের সাহায্যার্থে IAHV 2003 সালে প্রোজেক্ট ওয়েলকাম হোম ট্রুপস এই প্রকল্পটি শুরু করে । PWHT মানসিক ও শারীরিক স্থিতিস্থাপকতা তৈরী করার একটি কর্মশালা, যেখানে শ্বাস সম্পর্কিত ব্যবহারিক কিছু প্রক্রিয়া শেখানো হয়, যেটি মানসিক চাপ, আতঙ্ক এবং ঘুম সংক্রান্ত সমস্যাকে হ্রাস করে। Traumatic Stress নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত স্ট্যানফর্ডের গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে যুদ্ধ পরবর্তীকালের আতঙ্ক ও উদ্বেগে পীড়িত সেনারা PWHT প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে ভয়াবহ মানসিক কষ্ট থেকে 40-50% ভাগ অব্যাহতি পেয়েছিলেন।. আরও পড়ুন
ফলপ্রসূ বার্তালাপ
গুরুদেব বার্তালাপের মাধ্যমে নানাবিধ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়েছেন, যেমন- আসাম রায়ট(2012), অমরনাথের জমি সংক্রান্ত বিবাদ (2008), গুজ্জার বিরোধ( 2008), এবং যতদূর মনে হয় 2001 সালে নক্সাল আন্দোলন।